দীর্ঘদিন যাবত একাধিক টেলিকম সেন্টার ও বিকাশ এজেন্টের দোকানে কৌশলে চুরি করে ধরাছোয়ার বাইরে ছিলো দুর্র্ধর্ষ চোর আরিফ হাওলাদার। অবশেষে একটি দোকানের ২০টি মোবাইল ফোন চুরি করে ফেঁসে গেছে আরিফ।
বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ চুরির একটি অভিযোগের সূত্রধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে আরিফ হাওলাদারকে আটক করেছে। আটককৃত আরিফের স্বীকারোক্তি মতে রবিবার সকালে তার (আরিফ) উপস্থিতিতে গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজার সংলগ্ন একটি বাগানের পরিত্যক্ত স্থান থেকে দুইটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত দুর্র্ধর্ষ চোর আরিফ হাওলাদার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনদিয়া গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, বাকাই বাজারের সাহা টেলিকম সেন্টার নামের একটি দোকানের চালার টিন কেটে গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে দুর্র্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ওই দোকান থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রায় ২০টি মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ১১ আগস্ট ব্যবসায়ী জুয়েল সাহা গৌরনদী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনের আইএমই নাম্বার ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর আরিফ হাওলাদারের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে আরিফ হাওলাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হাওলাদার চুরির কথা স্বীকার করেছে। এরপর তাকে নিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও জানান, এরপূর্বে গত বছরের ১৮ জুলাই গৌরনদীর বাটাজোর বন্দরের পার্থ কম্পিউটার সার্ভিসিং, বিক্রয় ও বিকাশ এজেন্টে একইভাবে চালের টিন কেটে দুর্র্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ চোরেরা ওই দোকান থেকে নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ওই চুরিরও ঘটনা আটককৃত চোর আরিফ হাওলাদার ঘটিয়েছিলো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। চুরির ঘটনার সাথে অন্যান্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় আটক আরিফ হাওলাদারকে গ্রেপতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে রবিবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করা হহয়েছে।