কলাপাড়ার মহিপুরের সদর ইউনিয়নের কাজী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘ চার বছর যাবত প্যারালাইস রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ থাকায়, কাজী পরিচয় ধারী ভুয়া কাজী মাওলানা মাহতাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ ও ভুয়া কাবিননামা সৃষ্টির অভিযোগে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে CR মামলা নং ১১১৭/২০২৩ দায়ের হয় ।
মামলায় মহিপুর ইউনিয়নের কাজী মাওলানা আবুল কালাম কেও আসামি করা হয়, এ ব্যাপারে কাজী পরিচয়ধারী মাওলানা মোঃ মাহতাব উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে আমি বুঝতে পারিনি , এ ব্যাপারে কালাম কাজীর সাথে কথা বলতে চাইলে, তার স্ত্রী বলেন কাজী সাহেব অসুস্থ তার কথা বলতে কষ্ট হয়, সে কথা বলতে পারবেন না।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,কাজী মাওলানা আবুল কালাম দীর্ঘ চার বছর যাবত অসুস্থ থাকায়, নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী ছাড়াই চলছে বিবাহ নিবন্ধন, বিবাহ নিবন্ধনের কাগজ নিয়ে চলছে নানা রকম টালবাহানা, এবং প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক নবদম্পতি। জরুরি প্রয়োজনে টাকার বিনিময়েও পাচ্ছেন না কাবিননামা। এমন একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে মাওলানা আবুল কালাম কাজীর সহকারী কাজী পরিচয়ধারী মাওলানা মোঃ মাহাতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোন রকম বৈধতা ছাড়াই এই মাহাতাব উদ্দিন প্রায় দীর্ঘ চার বছর যাবত অবৈধভাবে করে যাচ্ছেন বিবাহ নিবন্ধন।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী মীর মুয়াজ্জেমের পিতা সিদ্দিক মীর বলেন আমার ছেলের বয়স ১৮ বছর, ছেলে ও মেয়ের পূর্ন বয়স না হওয়া সত্ত্বেও কাজীর সহকারী মাহাতাবউদ্দিন বাল্যবিয়ে সংঘটিত করেন,জ্বালজ্বালিয়াতী করে ভুয়া কাবিননামা সৃষ্টি করে আমাকে প্রতারিত ও হয়রানীর স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে আমার মতো অন্য কারো সাথে এই ধরনের প্রতারনা ও জ্বালজ্বালিয়াতী করে হয়রানী করতে না পারে তার কঠিন শাস্তির দাবী জানাই। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার চলমান রয়েছে।
আর এক ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল্লাহ জানান এই ভূয়া কাজী পরিচয়ধারী মাহাতাব উদ্দিন আমার এক লক্ষ টাকার কাবিননামা জ্বালজ্বালিয়াতীর মাধ্যমে তিন লক্ষ টাকা লিখে ভূয়া কাবিননামা সৃষ্টি করে মেয়ে পক্ষকে দেয়, যার কারণে আমার অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমি এই মাওলানা মাহতাব উদ্দিন এর কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আর এক ভুক্তভোগী মোঃ ফোরকান খান বলেন, আমার বোনের বিয়ে হয়েছে মহিপুর কাজী অফিসে ২০১৯ সালে, কাবিনের নকল কপি আনতে গেলে কালাম কাজী অসুস্থ থাকার কারণে, তার সহকারি মাহাতাব উদ্দিন এর কাছে যেতে বলে, মাহতাব উদ্দিন এর কাছে গেলে সে বলে এক হাজার টাকা লাগবে যদিও সরকার নির্ধারিত নকল ফি ৫০ টাকা তবুও আমি এক হাজার টাকা দিতে রাজি হই, সে আজ দেবো কাল দেবো বলে আমাকে অনেক দিন ঘুরায়, এবং অনেক টালবাহানা করে, সর্বশেষ আমাকে বলে, আপনার বোনের কাবিননাম আমি দিতে পারবো না আমার নামে মামলা হয়েছে, আরও একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে এই মাহাতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। জেলা রেজিস্টারের প্রধান সহকারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।