পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খেয়াঘাটের বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া-নীলগঞ্জ পারাপারের খেয়া ঘাটটি দীর্ঘ কয়েকটি বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় থাকলেও নেয়া হয়নি সংষ্কারের কোন উদ্যোগ। অত্যান্ত আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। যেকোনো মুহূর্তে খেয়াঘাটের বাকি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, এ খেয়া ঘাটটি উপজেলার মিঠাগঞ্জ, ডালবুগঞ্জ ও ধুলাসারসহ পাচ ইউনিয়নের জনসাধারণের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের অত্যান্ত গুরুত্ব বহন করে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের আঘাতে গত ৩ বছর ধরে খেয়া ঘাটটির প্রায় ৩০ ফুট ফাটলসহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ওইসকল এলাকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত মানুষ। ভাটার সময় খেয়াঘাট হতে ওঠানামা করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।
তেগাছিয়া খেয়া ইজারাদার মো. রিয়াজ বলেন, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে খেয়া ঘাটটির এমন অবস্থা। এই খেয়া দিয়ে দৈনিক শত শত মানুষের পাড়াপাড় হয়। ভাঙ্গনের কারনে মোটরসাইকেল সহ সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। ঘাটটি সংস্করণ করে সাধারণ মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য আমি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জনগুরুত্ব হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘাট করে দেয়া হবে।