কলাপাড়া উপজেলাধীন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুরের বাসিন্দা মোঃ আনসার কাজীর নিজ পুকুরে সকালবেলা জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় তার জালে ধরা পড়ে একটি ৩০০ গ্রাম ওজনের সাকার ফিস।
এই মাছটি যেহেতু অপরিচিত তাই সে তৎক্ষণাৎ ভয় পেয়ে জাল ফেলে বাসায় চলে যায় আনসার কাজী। এই ঘটনা চারদিকে জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে এসে মাছের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে সাথে সাথেই ভাইরাল হয়ে যায় পোস্ট টি। অনেক দূর দূরান্ত থেকে এই মাছটি দেখার জন্য ভিড় করে সাধারণ মানুষজন।
অনেকেরই অপরিচিত এই মাছটি তাই দেখতে এসেছে বলেছেন সাধারণ জনগণ।
মোঃ আনসার কাজির পুত্র কাজী আজিম আল মামুন বলেন আমাদের পুকুরটি সম্পূর্ণ আবদ্ধ, এখানে এই মাছ আশার কোন প্রশ্নই আসে না আমরা রীতিমতো ভয়-ভীতি অবস্থায় আছি।
স্থানীয় রাব্বি হাওলাদার বলেন এই মাছটি একটি রাক্ষসী মাছ আমরা এই মাছটি পাওয়ার পর অত্যন্ত ভয়-ভীতি অবস্থায় আছি আমরাও পুকুরে মাছ চাষ করি যদি এই মাছ আমাদের পুকুরেও ঢুকে তাহলে আমাদের মাছ চাষে অনেক সমস্যা হবে।
আগাতো দর্শক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন এই মাছটা ফেসবুকে দেখে আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং এই মাছটার নাম আমরা জান নাই তবে অনলাইনে আগেও কয়েকবার দেখছি। এগুলোতো সাগর নদীর মাছ পুকুরে কিভাবে আসলো সেটাই এখন ভাবার বিষয়।
ফেসবুকে পোস্টকারী মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এই মাছটি পাওয়া গেছে। আমি জাল থেকে ছাড়িয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে দেই। এই মাছটা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ আমার প্রশ্ন এই মাছটা পুকুরে কিভাবে আসলো।
চোষক মুখী (বৈজ্ঞানিক নাম: Hypostomus plecostomus) হচ্ছে লোরিক্যারিডে (Loricariidae) পরিবারের হাইপস্টোমাস (Hypostomus) গণের অন্তর্ভুক্ত একটি স্বাদুপানির মাছ। এটি সাকার ফিস অথবা সাকার মাউথ ক্যাটফিস নামেও পরিচিত।
এটি সাধারণ একুরিয়ামের জন্য আদর্শ মাছ একুরিয়াম এর ময়লা খেয়ে বেঁচে থাকে এবং স্বাদু পানির দানব হচ্ছে এই মাছ ময়লা সহ অন্যান্য মাছের খাদ্য খেয়ে থাকে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে থাকে। তাই যে জায়গায় এই মাছ বেশি পরিমাণে থাকে অই জায়গায় অন্যান্য মাছ কম থাকে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদী সহ প্রায় জলাশয়ই মাছটি উল্লেখযোগ্য আকারে দেখা যায়। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সাকার ফিস উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ায় দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছ খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। এটি চিংড়ি, কালি বাউস, মাগুর ও শিং মাছসহ ছোট শামুক জাতীয় শক্ত খোলের প্রাণী খেয়ে সাবাড় করে ফেলে।