1. info@www.dailyrupantor.com : news :
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ অপরাহ্ন

মহিপুরে সরকারি অনুমতি ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে একটি বিদ্যালয়ের পাঠদান ও কোচিং বাণিজ্য

আবু সালেহ ইমন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন মহিপুর থানা বন্দরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই আলহাজ্ব হাতেম আলী আইডিয়াল স্কুল সাবেক ড্যাফোডিল আইডিয়াল স্কুলে পাঠদান চলছে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বারবার সতর্কবার্তা পাঠানো হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন কর্ণপাত করছে না প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বৃন্দ।

স্থানীয় তথ্যমতে জানা যায়, শিক্ষা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথমে চরচাপলী ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরবর্তীতে হাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ছাড়া মোঃ নেছার উদ্দিন এর মাধ্যমে আবার কখনো ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বই নিয়ে বিতরণ করছে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানের নামে নেই কোন জমি, নিজস্ব স্থাপনা, শিক্ষা কার্যক্রমের নামে ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে চলছে স্কুল ও কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা, পাঠদান ও স্বীকৃতি প্রদানের নীতিমালা ২ এর(১,২,৩) স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে স্থাপনা ও পাঠদানের অনুমতি ছাড়াই চলছে বছরের পর বছর। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম ৩ কিলোমিটার দূরত্বের বিধান থাকলেও ওই প্রতিষ্ঠানটি মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৭ ইংরেজি নীতিমালার পরিশিষ্ট ১ এর ক্রমিক নং ১ স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে।

কুয়াকাটার অভিভাবক মোঃ সোবাহান জানান আমার ছেলেকে ওখানে ভর্তি করেছিলাম ওখানে এখন আর পড়ালেখা হয় না সব সাবজেক্ট এর টিচার নেই অনেক ছাত্র ছাত্রীদের ওখান থেকে এনে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি।

মহিপুরের অভিভাবক মোঃ কবির জানান আমার ছেলেকে ওই স্কুলে ভর্তি করেছিলাম ওখানে পড়ালেখা হয় না তাই মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি করেছি। তথ্যসূত্রে জানা যায় এখানে শিক্ষকদের নেই কোন সৃজনশীল ট্রেনিং সরকারি কোন নিয়ম-কানুন মেনে পাঠদান ও সরকারি ছুটির নির্দেশনাও মানছেনা প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয় অভিভাবকদের মতে, শুনেছি ওখানে নাকি টাকার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয় যেহেতু টাকার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ নেয়া হয় তাই ভাল মানের শিক্ষক ওখানে আসে না।

মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন আমাদের বিদ্যালয় থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে আলহাজ্ব হাতেম আলী আইডিয়াল স্কুল চালাচ্ছে যা শিক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছে।

উপজেলা সাবেক শিক্ষা অফিসার জনাব মোখলেসুর রহমান ১৬/২/২০২৩ তারিখ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা না করার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন এবং বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা জানান তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। শিক্ষা আইন ও বিধিমালার তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ রেজার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি পরে ফোন করবেন বলেন কিন্তু তিনি আর ফোন ধরেন নি। যথাযত কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের উদ্যোগ না নিলে অনেক সহজ সরল অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রী প্রতারণার শিকার হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং