নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে সারা দেশের ন্যয় পূর্ব ঘোষিত বিএনপির দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করা হয়। তারই আলোকে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে দলটির শক্ত কোন অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। গত ২৯ অক্টোবর হরতালে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির অবস্থান তেমন একটা চোখে পড়ে নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, অনেকেই পদ-পদবীর জন্য রাজনীতি করে। দলের দুঃসময়ে অনেককেই বাটি চালা দিয়েও পাওয়া যায়না। সোনাইমুড়ী উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে আপনারা হরতাল অবরোধের ডাক দিলেও আপনাদের মাঠে কেন দেখা যায়না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব সময় মাঠে থাকার চেষ্টা করি। আমাদের আন্দোলন অহিংসা আন্দোলন। আমাদের দফা এক, এ সরকারের পদত্যাগ।

তৃণমূলের এক নেতা জানান, সোনাইমুড়ী উপজেলা কমিটিতে কিছুটা উলট-পালট হয়েছে আমার মনে হয়। তা না হলে দেখেন,২০১৩,২০১৪ ও ২০১৬ইং সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সোনাইমুড়ী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২নং নদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন সানী মাঠে যে শক্ত অবস্থান দেখিয়েছেন, সেই থেকে উনার মত করে সাধারণ সম্পাদক পদে এমন কোন নেতা যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারে নাই। এখন ২০১৬ সালের মত সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন সানীর নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন বলে মনে করে তৃণমূল। বর্তমানে উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব কি সঠিকভাবে দিতে পারছেনা? গতকালের হরতালে কারো নেতৃত্বে একটা মিছিল পর্যন্ত সোনাইমুড়ীতে করতে পারলো না দলটি। তৃণমূলের এই নেতা আরো বলেন, নেতারা রাজনীতি করে যদি জেল-জুলুমকে ভয় পায়, তাহলে এই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়াই উচিত।

অপর দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল বাবু বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়েও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ এখন আরো অনেক বেশি শক্তিশালী। বিএনপি-জামায়েত আগুন সন্ত্রাস করলে আমরা সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিব। আমরা মাঠের দল, মাঠে আছি এবং মাঠে থাকবো। দেশের সম্পদ নষ্ট করবে যারা, তারা দেশের শত্রু“জনগণের শত্র“। তাদের সাথে কোন আপোষ নয়।

উলে­খ্য, সম্প্রতিক সময় আওয়ামীলীগের হাই কমান্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিএনপি যাতে আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে সেই দিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে জাগ্রত থাকার আহবান জানান।