1. info@www.dailyrupantor.com : news :
মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক অস্থিরতায়- সংকট পিছু ছাড়ছেন না পর্যটন নগরী কুয়াকাটার

মোঃ সাইদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

 

দেশে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে শুরুতেই ধাক্কা লাগে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়। যার ফলে স্থবির হয়ে পড়ে সকল কর্মকাণ্ড। অলস সময় পার করে পর্যটনশিল্পের সাথে যুক্ত সকল ব্যবসায়ীরা। করোনার ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছিল। পদ্মাসেতুকে আর্শীবাদ মনে করছিল ব্যবসায়ীরা। সেটায় এখন পুরোদমে ভাটা লেগেছে। পুরো সৈকত নিরবতা। পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে এ নিয়ে চলছে দুশ্চিন্তা। 

চলতি মাসের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সৈকতে তেমন কোন পর্যটকদের আনাগোনা ছিলোনা। এর আগের সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবেও নগরী খালি ছিল। সপ্তাহের শুরুতে হরতাল ডাকার পরে একদিন বিরতির পরে আবার শুরু হয়েছে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি। ফলে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। মৌসুমের শুরুতে এমন খারাপ পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেননা।

 

সৈকতে বসে আছে স্পিড বোটের মালিক মো. লিটন, তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ২২জন কর্মচারী। ডেইলি হিসেবে আমার ২৫ হাজার টাকা লস। গত কয়েকদিনে আমার লক্ষটাকা নেই। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো কিভাবে চলব জানিনা। করোনার সময় জমানো টাকা সব শেষ। এখন ঋনের বোঝা টানছি। আরো কয়েকটি দিন এমন থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।

 

সৈকতে বসে একা একা সময় পার করছে ক্যামেরা পারসন মো. মাসুদ তিনি বলেন, প্রতিদিন ১হাজার টাকা থেকে ১৫শত টাকা আয় হত। গত কয়েকদিনে ডেইলি ১০০ টাকাও আয় হয়না। বৌ বাচ্চা নিয়ে সংসার চালানো, মাস গেলে বাড়ি ভাড়া দিয়া টিকে থাকা এখন কষ্ট হচ্ছে। এটা থেকে মুক্তি চাই, না হয় না খেয়ে মারা যেতে হবে।

 

সৈকতে চা বিক্রেতা আলতাফ বলেন, মানুষ রাজনৈতিক দূরাবস্থা দেখে ভয় পাচ্ছে ঘর থেকে বের হতে। ২৮ অক্টোবর থেকে এখন ১০ কাপ চা বিক্রি হয়না। এমন সংকট আমরা চাইনা।

 

হোটেল গোল্ডেন ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম জহির জানান, আমরা সবার আগে ধাক্কা খাই। এ ধাক্কা কাটতে সময় লাগে অনেকদিন। এখন রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান না হলে এ সংকট কবে নাগাদ কাটবে তা বলা মুসকিল। আমরা এখান থেকে মুক্তি চাই।

 

আমরা কুয়াকাটাবাসী’র সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় মূলত পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেছে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট আরো বাড়বে।

 

হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোতালেব শরীফ বলেন, বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হয়না। গত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটকরা মুখ ফিরেয়ে নিয়েছে। এ সংকট দূর না হলে আমরা পথে বসে যাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং