শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় পিতা-পুত্র কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে। উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়াকে (২৯) ৪৪ বছর এবং অপর দুই আসামি বাবু মিয়ার বাবা মো. মোফাজ্জল হক (৫৪) ও আত্মীয়া মোছা. লুৎফা বেগমকে (৩৪) ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু। মামলা সূত্রে তিনি জানান, “নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক পার্শ্ববর্তী গেরাপঁচা গ্রামের ওই শিশুকে তার ছেলের বউ করে আনতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। শিশুটির মা-বাবা তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তারা। পরে বাবু মিয়া ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে ওই শিশুকে চানাচুরের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় আটকে রাখে। শিশুটিকে তার পৈত্রিক বাড়ি থেকে অপহরণে সহযোগিতা করে বাবুর পিতা মোফাজ্জল হক ও তার এক আত্মীয়া লুৎফা বেগম। এরপর সেখানেই ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু মিয়া। পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।”
ঘটনার ২৫ দিন পর ২৯ মে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। তদন্ত শেষে দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল হক।
মামলার বিচাকালে বাদী, চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তা, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষক বাবু মিয়া, তার পিতা মো. মোফাজ্জল হক ও আত্মীয়া লুৎফা বেগমকে উক্ত সাজা প্রদান করেন আদালত।