পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের বেড়িবাঁধের বাহিরে অবৈধ ভাবে ইট, বালু ও পাথর রাখায় পরিবেশ দূষণ হওয়ায় খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে, সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবসায়ীকে ৭ দিনের নোটিশ প্রদান করে ইট, বালু ও খোয়া স্কুল সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশের মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। ইউএনওর এমন মহতি উদ্যোগকে কলাপাড়া উপজেলাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই ইট, বালু ও খোয়া অপসারণ এর কাজ চলছে। স্থানীয় জনসাধারণ এর দাবি কলাপাড়া পৌর শহরের প্রধান সড়কের পাশে উপজেলার ভূমি অফিসের বিপরীতে খানকায়ে হামিদিয়া মাদ্রাসার মাঠ ও হোটেল রুবান এর বিপরীতে এবং
সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স কলেজের বেড়িবাঁধের বাহিরে স্থান দখল করে এমন বালুর ব্যাবসা করেন অনেকে। তাদের কারনে পরিবেশ দুষণে রাস্তার পথচারী ও কলেজ এবং বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়া ছাত্র /ছাত্রীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সামান্য বাতাস ঘনিয়ে আসলেই বাতাসের তান্ডবে বালুর কনা উড়ে গিয়ে পথচারীসহ পাশ্ববর্তী ব্যাবসায়ীদের আসবাব পত্রের ক্ষতি হচ্ছে। তার সাথে পরিবেশ দুষণে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। স্থানিয়দের দাবী, বাকি ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়ে, পৌর শহরের বাহিরে খোলা জায়গায় এমন বালুর ব্যাবসা করার নির্দেশ দেয়া হোক। তা হলেই সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে ও পরিবেশ দূষণ কম হবে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের আওতায় যাঁরা এমন বালুর ব্যাবসা করে এবং পরিবেশ দূষণ করে তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।