আলিপুরের মাঈটভাঙ্গায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে পরিবেশবান্ধব কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে কেবিসি নামের ব্রিকফিল্ড।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে করা হয়েছে ব্রিকফিল্ড ও নদী থেকে প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে মাটি এবং শতশত মন কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে ইট পোড়ানোর কাজে। যা পরিবেশের উপরে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক কাজী সাইফুদ্দিন জানান কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো আইনত দন্দনীয় অপরাধ।শীঘ্রই ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হবে ও বন ও পরিবেশ নিধন আইন অনুযায়ী মামলা হবে। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কৌশিক আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি জানান নদী থেকে মাটি কেটে অথবা নদীর জায়গা আটকিয়ে ইটভাটা চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কলাপাড়া উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রাকিব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছি আলিপুর মাঈটভাঙ্গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ব্রিক ফিল্ড পরিচালনা করা হচ্ছে ও নদী থেকে মাটি কেটে ইট বানাচ্ছে। আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি উদ্ধারে আমরা বদ্ধপরিকর। নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এখানে মাঝেমধ্যে মহিপুর ভূমি অফিসের লোকজন আসে এবং বিভিন্ন সময় অনেক অধিদপ্তরের লোকজন আসে ব্রিকফিল্ড মালিকদের সাথে কথা বলে চলে যায়। সম্ভবত তাদের ম্যানেজ করেই এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছে। কে কে বি ব্রিকফিল্ডের পরিচাল সাইফুল হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান নদীর মাটি আমরা গেল বছর কেটেছি। জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন সমস্ত ব্রিক ফিল্ডেই আটশো থেকে এক হাজার মন লাকড়ি প্রয়োজন হয় এরপরে আমরা কয়লা ব্যবহার করি।